নিজ বাসায় খুন হওয়া ব্লগার নিলয় চক্রবর্তী নিজের জীবন শঙ্কার বিষয় আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে গিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। তবে পুলিশ জিডি না নিয়ে তাকে দেশ ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিল। ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে নিলয় নিজেই এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। গত ১৫ই মে ওই পোস্টে নিলয় লিখেছেন, আমাকে দুজন মানুষ অনুসরণ করেছে গত পরশু। অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান শেষে আমার গন্তব্যে আসার পথে এই অনুসরণটা করা হয়। ঘটনার বর্ণনায় তিনি লেখেন, প্রথমে পাবলিক বাসে চড়ে একটা নির্ধারিত স্থানে আসলে তারাও আমার সাথে একই বাসে আসে। এরপর আমি লেগুনায় উঠে আমার গন্তব্যস্থলে যাওয়া শুরু করলে তাদের মধ্যে একজন আমার সাথে লেগুনায় উঠে। লেগুনায় বসে আমার মনে পড়ে বাসে তো এই ব্যক্তিই ছিলো কিন্তু তারা তো দুইজন ছিল। মনে মনে ভাবি হতেই পারে, একজনের গন্তব্য অন্যদিকে তাই সে চলে গেছে।
এ পর্যন্ত ব্যপার স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে লেগুনায় বসে সেই যুবক ক্রমাগত মোবাইলে টেক্সট করছিল যা দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি আমার নির্ধারিত গন্তব্যস্থলের আগেই নেমে গেলে আমার সাথে সেই তরুণও নেমে পড়ে। আমি বেশ ভয় পেয়ে সেখানের একটি অপরিচিত গলিতে ঢুকে যাই। পরে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ঐ তরুণের সাথে বাসে থাকা আরেক তরুণ এসে যোগ দিয়েছে এবং তারা আমাকে আর অনুসরণ না করে গলির মুখেই দাড়িয়ে আছে। এ ঘটনার পর থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি নেয়নি উল্লেখ করে নিলয় লিখেন, তারা জিডি নিলো না, তারা বললো আমাদের থানার অধীনে না, এটা অমুক থানার অধীনে পড়েছে ওখানে যেয়ে যোগাযোগ করুন, আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশ ছেড়ে চলে যান।
Leave a Reply